, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


অভিশ্রুতি শাস্ত্রীই বৃষ্টি খাতুন

  • আপলোড সময় : ০২-০৩-২০২৪ ০৮:৩০:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৩-২০২৪ ০৮:৩০:৫৪ অপরাহ্ন
অভিশ্রুতি শাস্ত্রীই বৃষ্টি খাতুন
এবার কুষ্টিয়ার মেয়ে বৃষ্টি খাতুন ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে দর্শন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। কাজ করতেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ-এ। কর্মক্ষেত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ধর্ম পরিচয় পরিবর্তন করেছিলেন কিনা, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে একটি ফেসবুক আইডি ছিল বৃষ্টির। কিন্তু তিনি নাম পরিবর্তন করলেও ধর্ম পরিবর্তন করেননি। তিনমাস আগেও বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য। তাছাড়া সর্বশেষ ঈদও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উদযাপন করেছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বৃষ্টি খাতুন নামেই মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের মেজো বোন ঝর্ণা খাতুন।

এদিকে নিহতের ছোট বোন জানিয়েছেন, বৃষ্টি খাতুন ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন এবং এই নামেই সাংবাদিকতা করতেন। বাড়িতে তাকে বৃষ্টি নামেই ডাকা হতো। বৃহস্পতিবার (২৯মার্চ) দুপুরে ফোনে মায়ের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন বৃষ্টি। সাংবাদিকতা করলেও বাড়ি থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন তিনি। তিনমাস আগেও বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য।

বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বৃষ্টির অকাল মৃত্যুতে সমবেদনা জানান। বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাশ করেন বৃষ্টি। তিনি স্বাধীনচেতা ছিলেন। 

এদিকে একই গ্রামের বাসিন্দা খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আখতার জানান, মেয়েটির বাবাকে আমি আগে থেকেই চিনি। তার তিন মেয়ে তাও জানি। কিন্তু নামের পরিবর্তন বা অন্য ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে কখনো শুনি নাই।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই। এই অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’